ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন
উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে সরকার দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে -শিক্ষা উপমন্ত্রী
এদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে তেমনি উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে সরকার দেশকে বিশ্বের দরবারে একটি স্বয়ংসম্পন্ন, আতœনির্ভরশীল, টেকসই এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। আজ বেলা ১১টায় পুলিশ কনভেনশন সেন্টার, মিরপুর-১৪ এ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও অত্র ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত সভাপতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তরুণ গ্রাজুয়েটরা তাদের মেধা, মনন, প্রজ্ঞা ও কর্ম দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। পাশাপাশি তারা যেন নিজেদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যত শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জ্ঞানের রাজ্যটা কোনো মতাদর্শের, গোষ্টীচিন্তার, মেকি আদর্শবাদের কানাগলির দেশ নয়, বরং তা প্রকৃতির মতো উদার। এই ঔদার্য্য, প্রাগ্রসর চিন্তা, পরমতসহিষ্ণুতাই হচ্ছে জ্ঞানের একটি প্রকাশ। আর যখন জ্ঞানকে প্রক্রিয়াজাত করে তোমরা প্রজ্ঞার সন্ধান পাবে, দেখবে, তোমাদের স্বার্থচিন্তাটা চলে গেছে, তোমরা যতটা না নিজেদের উন্নতির জন্য ব্রতী, তার থেকে বেশি পরহিতের জন্য। শিক্ষাকে যদি ওই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তবে তোমাদের হাত ধরেই দেশটা আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি গ্রাজুয়েটদর উদ্দেশ্যে বলেন যে, তোমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, যত অন্যদের সেই স্বপ্ন জড়িয়ে দিবে তত সেটি রঙিন হবে এবং তত তোমাদের তা ঘিরে থাকবে। স্বার্থপর স্বপ্ন বুদ্ধুদের মতো। বুদ্ধুদের রং থাকে, নিশ্চয় খেলায় করেছ, কিন্তু বুদ্ধুদ, তার রং সত্তে¡ও, নিতান্ত ক্ষণস্থায়ী। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মাদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী বলেন আমরা সমাবর্তনে সনদ দিচ্ছি না, তার সনদ অর্জন করে নিচ্ছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি বলেন, আজ ১৬৫৭ জন গ্রাজুয়েটকে সনদ নিচ্ছেন, আমরা কামনা করি তারা সাফল্যর সাথে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন বলেন, ১৯৯৫ সালের ৭ই এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। সমাবর্তনে ২জনকে চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড, ৫ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড ও ৬ জনকে ডীন এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সবশেষে বাপ্পা মজুমদার ও কিশোর ক্লাউডিসের সমান্বয়ে একটি মনোজ্ঞি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।