‘বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম’
বাংলাদেশ মেধা ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে করে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমগতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার (২৬ জুন) রাত ৮টায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) কর্তৃক আয়োজিত ‘রোল অফ ইনডাস্ট্রি ৪.০ ইন ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারের এ মন্তব্য করেন তিনি।ডিআইইউ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাব (সিপিসি) অফ ডিআইইউ এবং ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর যৌথ উদ্যোগে এ ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. মো. সাদেকুল আরেফিন,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি)’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার, ডিআইইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা এবং ইন্টারনেট সোসাইটি অব বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক. ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সেই সঙ্গে মূল বক্তা ছিলেন প্রোগ্রামিং হিরোর প্রতিষ্ঠাতা এবং নীলসন ইউএসএ’র সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার ঝংকার মাহবুব।ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন টেকনিক্যাল লিডার আমাজন ওয়েব সিরিজ (ইউএসএ)’এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের মো. মাহদী উজ জামান।প্রোগ্রামে ডিআইইউ’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সম্রাট কুমার দে’র সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব সাইয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন এবং সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান।প্রোগ্রামের বিশেষ অতিথি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকুল আরেফিন বলেন, বিশ্ব এখন বাধ্য হয়েই বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের জন্য। তাই শিল্প বিপ্লবে তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প কিছুই হতে পারে না।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশে শিল্প বিপ্লবের যে অবিস্মরণীয় অবদান সেটি সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল রয়েছি।
প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে কারণ আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক অনেক পিছিয়ে ছিলাম।তিনি পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে পুরনো স্থবির যুগ থেকে বেরিয়ে এসে এখনকার ইতিবাচক বৈপ্লবিক রূপান্তরের ব্যাপারে গভীরভাবে আলোকপাত করেন।মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ব্যাপারে যারা বিশ্বে প্রথম ভয়েস রেইস করেন তারা হলেন জার্মানি। আমরাও মেধা ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবহার করে যদি মানবসম্পদ গড়ে তুলতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমগতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।