তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ
তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ তামাকজাত দ্রব্যের সুনির্দিষ্ট কর আরোপ ও তামাকের কর বৃদ্ধির দাবীতে সোচ্চার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তারই প্রতিফলন ঘটেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বনানী ক্যাম্পাসে আয়োজিত তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনে। ৩১ মে, ২০২২ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে ত্রুটিপূর্ণ তামাক কর ব্যবস্থার পরিবর্তন করে তামাকের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে জনগনের দাবীকে আরো জোরালোভাবে উত্থাপনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণা সেল- টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)-এর যৌথ উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক স্বাক্ষর ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৪ মে, ২০২২ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বনানী ক্যাম্পাসে এই ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ক্যাম্পেইনে তামাকজাত দ্রব্যের করবৃদ্ধি, শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রনয়ণ ও তামাক কর আদায় ব্যবস্থা আধুনিকায়নের দাবী জানানো হয়।
উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম; প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র সাহা; বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান ডাঃ এস কাদির পাটোয়ারি, রেজিষ্ট্রার প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম; সহকারী রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. শাহ্ আলম চৌধুরী; টিসিআরসির সদস্য সচিব ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান; প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম প্রধান; অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ফজলুল হক পলাশ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সিদ্দিক আলম খান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিলা শবনম, আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মোঃ রাইসুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেলের( টিসিআরসি) প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, গবেষক আশিকুল ইসলাম খান, গবেষণা সহকারী মুনিম মাহাদী, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)-এর প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হান; বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সচিবালয়ের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব এবং ডিআইইউ-এর কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে। উক্ত ক্যাম্পেইনে স্বাক্ষর প্রদান করেন ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ও প্রায় ৫০ জন শিক্ষক ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী। অংশগ্রহণকারীরা মাননীয় প্রধাননমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন এবং জনস্বার্থকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে অতিদ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য তামাক কর নীতি প্রণয়ণের দাবি জানান। সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ তামাকের মতো একটি প্রাণঘাতী পণ্য নিয়ন্ত্রণে সফল হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যৌক্তিক পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি শক্তিশালী কর নীতি প্রণয়ণের বিকল্প নেই। কিন্তু গত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তার নূন্যতম প্রতিফলন ঘটেনি। বরং এ বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্য আদতে লাভবান করেছে তামাক কোম্পানিকে এবং সরকার হারিয়েছে বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ। বর্তমান কর ব্যবস্থায় তামাকের চারটি পৃথক মূল্যস্তর থাকায় কর আরোপ এবং সরকারের রাজস্ব আদায়েও জটিলতার সৃষ্টি হয়।